অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।
আশা করি সবাই ভাল আছেন ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন (অনলাইনে আয়)
Affiliate Marketing |
আপনি কি অনলাইনে আয় করতে চান? আপনি যদি অনলাইনে আয় করার উদ্দেশ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing সম্পর্কে জানতে এসে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আমি এখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং/Affiliate Marketing সম্পর্কে খুঁটিনাটি যত বিষয় রয়েছে, সকল কিছু এই তুলে ধরবো। এই লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আশাকরি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়, কোথায় থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখবেন , এবং কিভাবে কাজ করবেন, কত টাকা ইনকাম হবে? এই সকল বিষয় আপনার আয়ত্তে চলে আসবে।
আজকে শুরু করছি এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing এর পূর্নাঙ্গ টিউটোরিয়াল
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
প্রথমে জেনে নিন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? আমরা কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing নিয়ে কাজ করব?
এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing হল কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্ট/ Product অথবা কোন সেবা বিক্রি করে দেয়া, এবং প্রতিটি বিক্রয়ে/Sale এর বিপরীতে বিক্রয়ের মূল্যের ওপর % হারে কমিশন নেয়া।
অর্থাৎ আপনি যদি কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রয়ে/ Sale করে দেন, সে কোম্পানির বিক্রয়ের উপর 2% থেকে 70% পর্যন্ত কমিশন দেবে।
আমি আরো সহজ করে বলছি, মনে করুন আপনি amazon.com থেকে অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট করে সেখান থেকে আপনি একটি মোটরসাইকেল বিক্রয়ে/Sale করলেন। যদি মোটরসাইকেলের মূল্য 200000/- টাকা হয়, এবং আপনি যদি 5% কমিশন পান তাহলে আপনার আয় হবে। 200000*5% = 10000/- টাকা।
মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে?
এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing মূলত যে সমস্ত কোম্পানি অফার করে থাকে তাদের অটো সফটওয়্যার থাকে অটো সফটওয়্যার মাধ্যমে এফিলিয়েট বিক্রয়ের উপর বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটিং তারা কমিশন দিয়ে থাকে। কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান ভেদে সাপ্তাহিক, মাসিক, বা যে কোন সময় আপনার পেমেন্ট তুলতে পারবেন।
এটি মূলত একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু পণ্য বা সেবা থাকে। সেবা বা পন্য আপনার ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়া, বা যে কোন ডিজিটাল মার্কেটিং করে বাড়িতে বসে কাজ করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing এর জন্য পণ্য বা সেবা তিন রকমের হয়ে থাকে:
১। ডিজিটাল প্রডাক্ট:
ডিজিটাল পণ্য হল যে সকল পণ্যে সাদৃশ্য নয়, অর্থাৎ ভার্চুয়ালি ব্যবহার করতে হয়, সে সকল পণ্য হচ্ছে ডিজিটাল প্রোডাক্ট/Product, যেমন, ই-বুক, ওয়েব হোস্টিং, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন, কোন সফটওয়্যার, অনলাইন ক্লাস, ভিডিও ইত্যাদি। যারা অনলাইন এফিলিয়েট মার্কেটিং/Affiliate Marketing করেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল প্রোডাক্ট/G। ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে 5% থেকে শুরু করে 70% পর্যন্ত কমিশন পাওয়া যায়।
২। ফিজিক্যাল প্রডাক্ট:
দ্বিতীয়ত হচ্ছে ফিজিক্যাল Product অর্থাৎ যে সমস্ত জন্য আমরা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করে থাকি। যেমন, ইলেকট্রিক পণ্য, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ফার্নিচার, পোশাক-আশাক, ফলমূল এবং খাবার ইত্যাদি । এ সকল পণ্য 2% থেকে শুরু করে 20% পর্যন্ত কমিশন পাওয়া যায়। এ সকল পণ্য নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং/Affiliate Marketing করতে হলে অবশ্যই ডেলিভারির কথা মাথায় রাখতে হবে। আপনি যে কোম্পানির পণ্য সেল করবেন সে কোম্পানি ঠিকমতো ডেলিভারি দিচ্ছে কিনা, এই সমস্ত ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
৩। লীড জেনারেশন:
এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing করার জন্য আরও একটি জনপ্রিয় প্রডাক্ট হচ্ছে লিড জেনারেশন, অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র তাদের Product এর জন্য মার্কেটিং করবেন এবং আপনার ক্রেতারা তাদের ক্রেডিট বা টাকা খরচ করে কোন পণ্য কিনতে হবে না কিন্তু আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন। যেমন, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস সাইনআপ, ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন, চ্যানেল সাবস্ক্রাইব, অ্যাপস ডাউনলোড ইনস্টল, ভিডিও ভিউজ।
অর্থাৎ এমন কিছু কাজ রয়েছে যে, আপনাকে বলা হবে, একটি এন্ড্রোয়েড অ্যাপস 1000 মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে, সেক্ষেত্রে আপনার কাজ হবে সেই অ্যাপটির লিঙ্ক দিয়ে বিভিন্ন ভাবে আপনার ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। যাতে সেই লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার ক্রেতারা সেই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস টি তাদের মোবাইলে ইন্সটল করে। যখনই আপনার লিংকে ক্লিক করে সেই অ্যাপস টি ইন্সটল করবে আপনি সেই অ্যাপস এর বিনিময়ে দেওয়া নির্ধারিত টাকা আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে। এবং এই পদ্ধতি টা কে সিপিএ মার্কেটিংও বলা হয় ।
কোথায় থেকে শিখবো?
আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing করার উদ্দেশ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবেই কাছে শিখতে হবে। আর এর জন্য আপনি দুইটি মাধ্যম অবলম্বন করতে পারেন।
১। ফ্রি ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখা:
এফিলিয়েট মার্কেটিং/Affiliate Marketing শিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে দুইটি মাধ্যমে একটি অবলম্বন করতে হবে এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ফ্রি মেথড। এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে হলে আপনাকে ইউটিউবে এফিলিয়েট মার্কেটিং লিখে সার্চ করতে হবে এতে অনেক ধরনের রিসোর্স বা টিউটরিয়াল রয়েছে সেগুলো দেখে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন। অথবা গুগলে এফিলিয়েট মার্কেটিং লিখে সার্চ করলেও অনেক রিসোর্স পাবেন সেগুলো দেখেও কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফ্রি ভিডিও টিউটোরিয়াল, সেগুলো কালেক্ট করেও এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখা সম্ভব। এতে করে আপনার রির্সাস করার সক্ষমতা ও বাড়বে এবং টাকাও খরচ হবে না।
২। পেউড ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখা
দ্বিতীয়ত হচ্ছে টাকা খরচ করে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখা। আপনি যদি কোনো ট্রেনিং সেন্টার বা কোন কোর্স ক্রয় করে এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing শিখেন তাহলে সেক্ষেত্রে তার মধ্যে একটি সীমাবদ্ধতা আছে। এবং অনেক অসম্পূর্ণ রয়ে যায়, সে বিষয়গুলো পরবর্তীতে গুগল বা ইউটিউবে সার্চ করে আপনাকে নিজে নিজেই শিখে নিতে হবে।
তারপরও, কোন ট্রেনিং সেন্টার বা অনলাইনে পেইড কোন কোর্সে জয়েন হয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং/Affiliate Marketing এর বেসিক ধারণা নিতে পারেন তারপর বাকি কাজগুলো শেখা আপনার জন্য অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। আর এর জন্য আপনাকে খরচ করা লাগতে পারে 10 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত।
কত টাকা আয় করতে পারবো?
এখন কথা হচ্ছে আপনি কষ্ট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং/Affiliate Marketing শিখলেন, অনেক সময় ব্যয় করে ফ্রি ভাবে অথবা টাকা খরচ করে পেইড ভাবে। এখন কথা হচ্ছে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন? এ প্রশ্নের একটাই উত্তর, আনলিমিটেড।
আপনার যদি একটি ভাল মানের ওয়েব সাইট থাকে অথবা একটি ভালো মানের ইউটিউব চ্যানেল থাকে, আর সেখানে যদি আপনি আপনার এফিলিয়েট পণ্যটির লিংক দেন, তাহলে সেই লিঙ্ক থেকে যত বেশি বিক্রয়ে/Sale হবে তত টাকা আপনার কমিশন হতে থাকবে এর কোনো শেষ সীমানা নেই। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং/Affiliate Marketing হলো একটি মুক্ত বা স্ট্যান্ডার পেশা।
অর্থাৎ আপনার যদি একটি এফিলিয়েট ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে, সেখানে যদি ভালো পরিমাণে ভিজিটর অর্থাৎ কাস্টমার থাকে, তাহলে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন 24 ঘন্টা আপনার ইনকাম হতেই থাকবে। যত বেশি বিক্রয়ে/Sale তত বেশি আয়।
কিভাবে কাজ করবো?
এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing এ কাজ করার জন্য অবশ্যই ভালো মানের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সে ওয়েবসাইটে প্রতিটি পণ্যের ভালোভাবে রিভিউ লিখতে হবে এবং মানি কনটেন্ট লিখতে হবে। যে সমস্ত রিভিউ কনটেন্ট থাকবে সেগুলো থেকে পণ্য বিক্রয়ে/Sale আর্টিকেল আছে সে আর্টিকেলে ভিজিটর পাঠাতে হবে এবং সেখান থেকে ভিজিটর আপনার পণ্য ক্রয় করবে।
অথবা ভালো মানের একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে যেখানে টার্গেটেড ভিজিটর আসবে। অর্থাৎ আপনি যে সকল পণ্য বিক্রয়ে/Sale করবেন সে সকল পণ্য রিলেটেড ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে তাহলে আপনার পণ্য বিক্রয় হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
আপনি যদি ভাল ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আপনার কাজটি শুরু করতে পারেন। যেমন, ফেসবুক , টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, রেদিত, ইত্যাদি বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়া।
বেশি আয় করার কিছু কার্যকরি উপায়:
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing করে বেশি পরিমানে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি মার্কেটিংয়ের দিকে নজর রাখতে হবে । বেশি কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
আমি নিচে কিছু রিসোর্স দিয়ে দিলাম যেগুলো অবলম্বন করলে আপনার বিক্রয়ে/ Sale পরিমাণ বেড়ে যাবে, এবং অনেক বেশি পরিমানে আয় করতে পারবেন।
সঠিক পণ্য নির্বাচন করা:
এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing এ আসতে হলে সঠিক পণ্য নির্বাচন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এমন সব পণ্য নির্বাচন করতে হবে যে সকল পণ্যের উপর কাষ্টমারদের চাহিদা বেশি। এবং কমিশনের হার বেশি। তাই পন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে বার বার রিসার্স করাটা জরুরী। মনে রাখবেন আপনি যত বেশি রিসার্স করবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং-এ আপনার সফলতা তত তারাতারি আসবে।
সঠিক কোম্পানী বা ইন্ডাষ্ট্রি নির্বাচন:
ইন্ডাস্ট্রি বা কোম্পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে কোম্পানির পণ্য আপনি বিক্রি করতে চাচ্ছেন সে কোম্পানির পণ্যটির কোয়ালিটি, ডেলিভারি সিস্টেম এবং কাস্টমার সাপোর্ট কেমন। এসব বিষয়গুলো যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনি সেই কোম্পানির Product/পণ্য এই নির্বাচন করতে পারেন। তবে হ্যাঁ এখানে আরো একটি বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে, পণ্যটির চাহিদা বাজারে কেমন রয়েছে, যদি আপনি এমন কোন পণ্য নির্বাচন করেন যেটির কোনো চাহিদা নেই এবং ক্রেতারা কিনার কোনো আগ্রহ নেই সে সকল পণ্য নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing করতে গেলে আপনি কখনোই ভালো কিছু করতে পারবেন না।
আপডেট মার্কেটিং পদ্ধতি অনুস্বরন করা:
এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing করতে হলে বর্তমানে ভার্চুয়াল যে আপডেট মার্কেটগুলো রয়েছে এগুলোতে আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে, আপনি যত বেশি মার্কেটিং করতে পারবেন আপনার পণ্য বিক্রয়ে/ Sale বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে আর যত বেশি বিক্রি হবে আপনার ব্যবসার সফলতা ততো তাড়াতাড়ি আসবে। আপডেট মার্কেটিং এর মধ্যে জনপ্রিয় মার্কেট হচ্ছে, ইমেইল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
ওয়েব সাইট তৈরি করা ও এস.ই.ও. করা:
এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি তথ্যবহুল ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এবং সে ওয়েবসাইটে পণ্যের রিভিউ এবং খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে। ভালো কোয়ালিটির ছবি রাখতে হবে যেটা দেখে ক্রেতা আকৃষ্ট হয়ে যায়। ওয়েবসাইটে এমনভাবে কনটেন্ট দিতে হবে যাতে তা খুব সহজেই কিনার জন্য আকৃষ্ট হয়ে যায়। অতঃপর ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার জন্য বিভিন্ন মার্কেটিং বা এস.ই.ও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) করতে হবে। তাহলে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে টার্গেট করা কাস্টমার বলে চলে আসবে এবং আপনার ওয়েবসাইট থেকে তারা পণ্য ক্রয় করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করা:
এফিলিয়েট মার্কেটিং/ Affiliate Marketing করার ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত যতগুলো মার্কেটিং সিস্টেম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মার্কেট হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। যেহেতু আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং ভার্চুয়ালি করি তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। ডিজিটাল মার্কেটিং বেশকিছু মার্কেটিং সিস্টেম এর নাম যেমন, ফেসবুক মার্কেটিং, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগ কমেন্টিং, গেষ্ট ব্লগিং, প্রশ্নোত্তর, রেদিত অংশগ্রহন করা ইত্যাদি,
সোশ্যাল সিগনাল এর প্রতি খেয়াল রাখা:
সোশ্যাল সিগন্যাল বলতে আমরা বুঝি, যেসকল সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনি মার্কেটিং করবেন তার সিগনালগুলো সবসময় খেয়াল রাখা। যেমন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন, সেটাতে কাস্টমাররা কি কি কমেন্ট করছে বা কি জানতে চাচ্ছে সে বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এবং তাদের সাথে কমিউনিকেশন রাখতে হবে তাহলে আপনার বিক্রয়ে/Sale অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
জনপ্রিয় কিছু এফিলিয়েট প্রোগ্রাম:
বর্তমানে অনেক এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে তাদের মধ্যে আমি জনপ্রিয় কিছু Affiliate Marketing বা এফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিম্নে তুলে ধরলাম।
CJ Affiliate: এ প্রোগ্রামটি মূলত ডিজিটাল পণ্য নিয়ে নির্মিত। আপনি যদি ডিজিটাল Product/ পণ্য নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে চান তাহলে সবচেয়ে বেস্ট অপশন হচ্ছে সিজে Affiliate Marketing প্রোগ্রাম।
Amazon Associates: এটি মূলত ফিজিক্যাল Product/ পণ্য বিক্রয়ের জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এবং এদের বেশকিছু ডিজিটাল প্রোডাক্ট রয়েছে।
Ebay Partner Network: এটি মূলত ফিজিক্যাল Product/ পণ্য বিক্রয়ে/Sale জন্য এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এবং এদের বেশকিছু ডিজিটাল Product/ পণ্য রয়েছে।
Cclickbank: এটি মূলত লীড জেনারেশন, ডিজিটাল সার্ভিস, রিলেটেড এফিলিয়েট প্রোগ্রাম।
সবশেষে আমাদের পরামর্শঃ
আপনি যদি Affiliate Marketing নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন এবং অবশ্যই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে তারপর Affiliate Marketing শুরু করবেন কেননা আপনি যদি কোন কিছু না জেনে না বুঝে ফেলে মার্কেটিং শুরু করে দেন তাহলে আপনার সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার হার বেড়ে যাবে। আমরা চাই আপনি অবশ্যই অনলাইনে ইনকামের জন্য সফলতা অর্জন করুন এবং সেই পরামর্শ দিয়ে থাকে তাই। কাজ শিখুন, বিভিন্ন অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানুন এবং যেকোনো একটি মাধ্যম বেছে নিন তারপর কাজে নেমে পড়ুন আপনি অবশ্যই সফল হবেন। আমরা সব সময় এই আশাই করি।
বন্ধুরা যদি আমার এই লেখাটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আল্লাহ হাফেজ