Sexual Tips: যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চান? আগে যৌন অঙ্গের খেয়াল রাখুন
ঋতুস্রাবের সময়, গর্ভাবস্থায় ইউটিআই ও ইস্ট সংক্রমণের মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি মেয়েদের বেশি থাকে।
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য যৌন স্বাস্থ্যের (Sexual Health) প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। যৌন স্বাস্থ্য উপেক্ষা করলে এটি অনেক সময় গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য (Reproductive Health) বজায় রাখতে গোপনাঙ্গের (Vaginal Health) পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। বিশেষত, মহিলাদের (Women Health) এই বিষয়ে বিশেষ সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ ঋতুস্রাবের সময়, গর্ভাবস্থায় ইউটিআই ও ইস্ট সংক্রমণের (Infections) মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি মেয়েদের বেশি থাকে। তাই যৌন অঙ্গের স্বাস্থ্য বিধি (Health Tips) মেনে চলা দরকার। এতে ভাল থাকবে আপনার যৌন স্বাস্থ্যও। কী-কী করবেন আর কোন বিষয়গুলি এড়িয়ে চলবেন, রইল টিপস…
-যেহেতু আমরা গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশে বাস করি আর এখন গরমের সময় তাই অবশ্যই দিনে দু’ বার করে স্নান করুন। যৌন অঙ্গ হালকা গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করুন। পায়ু অঞ্চলে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আপনি সামনে থেকে পিছনে জল দিয়ে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
-স্ক্রাবিং এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। গোপনাঙ্গের চারপাশে সাবান ব্যবহার করবেন না। যেহেতু, যোনিতে একটি অম্লীয় পিএইচ স্তর থাকে, তাই ক্ষারীয় সাবান তা নষ্ট করে দিতে পারে। এর পাশাপাশি সুগন্ধযুক্ত পণ্যের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এটি ফুলে যাওয়া, জ্বালাভাব, চুলকানি ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে।
-যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার করা জরুরি। এর জন্য ঢিলেঢালা, আরামদায়ক এবং শুধুমাত্র সুতি কাপড়ের তৈরি অন্তর্বাস ব্যবহার করুন। ঘন ঘন প্রস্রাবের সময়, গোপনাঙ্গ বার বার জল দিয়ে পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই। এর ক্ষেত্রে, আপনি একটি টিস্যু দিয়ে হালকাভাবে মুছতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন যে যোনি অঞ্চল শুষ্ক থাকে, কারণ ভেজা অন্তর্বাস আপনাকে ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
-যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার আগে যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করুন। এটি আপনাকে যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করবে।
– যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার সময় কনডম ব্যবহার করুন। এটা শুধু আপনাকে অবাঞ্চিত প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধে সাহায্য করবে না, এর পাশাপাশি যৌনবাহিত সংক্রমণ যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, হেপাটাইটিস বি এবং এইচআইভি-এইডস ইত্যাদি প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
-প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। সুষম ডায়েট মেনে চলুন। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খান। শরীরে ভিটামিন মিনারেলের ঘাটতি একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এর পাশাপাশি ধূমপান ত্যাগ করুন। এবং সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করুন।
-নিয়মিত যৌন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। এতে যদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তা দ্রুত ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।